Skip to main content

Featured

পদ্ম ফল এর উপকারিতা।

পদ্ম ফলের উপকারিতা। পদ্ম মূলত বহুবর্ষজীবী কন্দ জাতীয় ভূয়াশ্রয়ী জলজ  উদ্ভিদ। এর পাতা জলের উপরে ভেসে থাকলেও এর কন্দ জলের নিচে মাটির আশ্রয় নিয়া বংশবিস্তার করিতে থাকে এবং এভাবেই বেঁচে থাকে। জলের সাথে পাল্লা দিয়ে পদ্মের ডাটা পানির নিচে বাড়তে থাকে সেইসঙ্গে পাতা পানির উপর ভাসতে থাকে। চিকন চিকন ও মসৃণ পদ্মের ডাটার ভিতরে স্পঞ্জের মত ফাঁপা ফাঁপা থাকে। এর তরকারিও খাওয়া হয় ।সবুজ রঙের পানাকৃতির পাতাগুলো দেখতে ধার গুলো কিছুটা খাচ্ কাটা ।যাহা দেখতে প্রক‌ৃতির মতই সুন্দর। ছায়া ও রাতে পদ্ম ফুল গুলো সুশোভিত ভাবে নিজেকে ফুটিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতিকে মোহনীয় করে তোলে।  সদ্য ফোটা ফুলের মিষ্টি গন্ধ পাওয়া যায় । ফুল থেকে যে ফলের সৃষ্টি হয় তাকে আমরা খ৺চা, পদ্ম খ৺চা ,পদ্ম ফল ,পদ্ম চাকা, কমল ফল ইত্যাদি নামে ডেকে থাকি। সবুজ রংয়ের খাচাঁকৃতি এ ফলের ভিতরে বাদামের দানার মত ছোট ছোট দানা হয়ে থাকে ।যেগুলো আমরা সাধারণত খেয়ে থাকি এবং এই ফলোই পরিপুষ্ট হলে তা থেকে গাছও জন্মাতে পারি। বহুল প্রচলিত এই পদ্মফুলের বীজ থেকে আমরা মানব দেহের উপকারার্থে অনেক প্রকার ঔষধি গুণ বা ভেষজ গুণ দেখতে পাই। পুষ্টিগুণে ভরপুর...

উচ্চ রক্তচাপ, হার্টঅ্যাটাক ও হৃদপিণ্ড বড় হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ।






বিশেষজ্ঞদের মতামতে যতদূর জানা যায় যে,   হৃদপিণ্ড বড় হওয়ার অনেক জানা-অজানা এবং ছোট-বড় অনেক  কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ও সর্বাধিক গুরুত্বপুর্ন কারন গুলো হলো- অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হার্টের ভাল্বের কোন সমস্যা, বাত ব্যাথা ও বাত জ্বর সমস্যা, হার্টের যে কোন ধরনের ব্লক , মাদক সেবন এবং কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি সহ ইত্যাদি ইত্যাদি। তাঁদের মতে,
উচ্চ রক্তচাপই হার্টঅ্যাটাক ও হৃদপিণ্ড বড় হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। 



প্রিয় পাঠক ও ব্লগার লেডি এন্ড জেন্টেলম্যানস 

শুভেচ্ছা সবাইকে-

আশা রাখছি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভালো আছি। সবার সহযোগিতা কামনা করে আজকের লেখা শুরু করার চেষ্টা করছি। আশীর্বাদ করবেন যেন পুর্ন রুপে শেষ করতে পারি। আমার আজকের আলোচনার বিষয় নির্ধারণ করলাম, "হৃদপিণ্ড বড় হওয়ার জটিলতা" সম্পর্কে।
              
    হৃদপিণ্ড মানব দেহের ঐশ্বরিক ক্ষমতা সম্পন্ন, স্ব মুষ্টিবদ্ধের সমান এক খন্ড আজীবন সচল মাংস পিন্ড এবং রক্তের থলে। থলের মধ্যে আগত রক্ত সমুহকে চাপ প্রয়োগ করে রক্তকে হৃদপিন্ডের সাথে সংযুক্ত করে, ছোট-বড় সকল রক্ত নালিতে স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিত করে থাকে । এই হৃদপিণ্ড নামের মাংসপিন্ডটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মায়ের গর্ভ থেকে চালু হয়ে, মৃত্যুর পুর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সচল থাকে।

আরও পড়ুন --কোলেস্টেরল সম্পর্কে 

 মেডিকেল সাইন্স প্রমাণ করে যে, একজন সুস্থ্য মানুষের হৃদপিণ্ড স্বাভাবিক ভাবে প্রতি মিনিটে ৭২ বার সংকোচন করে থাকে এবং রক্তনালী সমুুহে নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্ত সরবরাহ নিশ্চিত করে থাকে। 

    বিশেষজ্ঞদের মতামতে যতদূর জানা যায় যে,   হৃদপিণ্ড বড় হওয়ার অনেক জানা-অজানা এবং ছোট-বড় অনেক  কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ও সর্বাধিক গুরুত্বপুর্ন কারন গুলো হলো- অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হার্টের ভাল্বের কোন সমস্যা, বাত ব্যাথা ও বাত জ্বর সমস্যা, হার্টের যে কোন ধরনের ব্লক , মাদক সেবন এবং কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি সহ ইত্যাদি ইত্যাদি। তাঁদের মতে,উচ্চ রক্তচাপই হার্টঅ্যাটাক ও হৃদপিণ্ড বড় হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ।    

    হৃদপিণ্ড মানবদেহের একমাত্র প্রধান ও স্বয়ংক্রিয়   "ম্যাকানিক্যাল পাম্প"। যদি কোন কারনে হৃদপিন্ডকে নির্দিষ্ট পরিমানের চেয়ে অধিক শক্তি প্রয়োগ করে রক্ত সরবরাহ করতে হয়।তা যদি দীর্ঘ সময় চলতে থাকে।তখন তা খাপ খাওয়াতে হৃদপিন্ডের কলেবর বৃদ্ধি ঘটতে থাকে এবং মাংস পেশির পরিমাণ বৃদ্ধি হতে থাকে। 

ফলস্রুতিতে হৃদপিন্ডের দেয়াল মোটা হয় এবং ভিতরের ফাঁপা অংশের আকার ছোট হতে থাকে। হৃদপিন্ডের এই অধিক কর্ম তৎপরতা বেশি সময় চালু থাকলে ভিতরের আকার সংকোচন হতে থাকে এবং বাইরের আকার মোটা হয়ে আরও বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। ফলে বুকের খাঁচার ভিতর রক্ষিত ফুসফুস, প্যাংক্রিয়াস এবং লিভার সহ অন্যান্য অঙ্গ সমুহের উপর চাপ দিতে থাকলে তা আরও সংকুচিত হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় হৃদপিন্ডের রসদ ও অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি প্রয়োজন হয়ে পড়ে।   কেননা এসময়ও রক্ত নালিতে, রক্তের সরবরাহ চাহিদা পূর্বের মতোই থেকে যায়।

   ফলস্রুতিতে হৃদপিন্ড প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও রসদের অভাবে আস্তে আস্তে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে । এতে হৃদপিন্ডের কর্ম ক্ষমতা কমে এলে বুকে নানান ধরনের ব্যাথা অনুভুত হতে থাকে। বিশেষ করে পরিশ্রম কালিন সময়ে বুকে ব্যাথা অনুভব হতে থাকে। এসময়  বুক ধড়পড় সহ শ্বাসপ্রশ্বাস ঘনঘন হতে থাকে  । এ অবস্থা আরও বেশি দিন চলতে থাকলে রোগীর হৃদপিণ্ডে আরও অনেক বেশি জটিলতা দেখা দেয় এবং আস্তে আস্তে আরও দুর্বল হতে থাকে ।রোগীর  এ অবস্থা আরও বেশিদিন চলতে থাকলে এক সময় রোগী হার্ট ফেলিউরের স্বীকার হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়।

    এছাড়াও অতিরিক্ত উপসর্গ হিসেবে শ্বাসকস্ট, শুকনো কাশি, ভরা পেটে শুইলে পেটে চাপ বোধ, পেটের আকার বড় হয়ে যাওয়া সহ পেটে অত্যন্ত গ্যাস উৎপন্ন হতে শুরু হতে পারে । তাই সকল উপসর্গের বিষয়ে সচেতন হয়ে যথা সময়ে অভিজ্ঞ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে । ভাল থাকুন।

 সংগ্রহ , লেখা ও ছবি - ডাঃ এজেএম নজরুল ইসলাম

প্রাক্তন শিক্ষক, অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি ও হারবাল চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক কলামিস্ট।

 
                                                                                                                       

Comments

Post a Comment