Posts

Showing posts from 2021

ডায়াবেটিস তাড়াতে কুচিলা পাতা।

Image
কুচিলা /তেলাকুচা  এক ধরণের বুনো জন্মানো, লতানো গাছ।  বনে জঙ্গলে, পতিত জমি, উঁচুনিচু সব জায়গা, ঝোপ ঝাড় ও রাস্তার ধারে দেখতে পাওয়া যায়। এলাকা ভিত্তিক একে অনেক নামে ডাকা হয়ে থাকে, যেমন- কুন্দ্রি শাক, তেলাকুচা, তেলা কচু, তেলাচহি তেলা চোরা ও কুচিলা ইত্যাদি বলে ডাকা হয়ে থাকে।  ইংরেজি নাম স্কারলেট গার্ড (Scarlet Gourd)বলা হয়ে থাকে। ভেষজ নাম Coccinia.  ঔষধ হিসেবে এর লতা, পাতা,কান্ড, মুল এবং  শিকড় সবই ব্যবহার হয়ে থাকে। এর পাকা ফল টিয়ে পাখির খুবই প্রিয়।  .

জামপাতা চিরতরে ডায়াবেটিস ও অ্যালার্জি দুর করে।

Image
 বাংলাদেশ তথা ভারত উপমহাদেশের আনাচে কানাচে বসতবাড়িতে ও পতিত জমিতে প্রচুর পরিমান নানান জাতের জামগাছ দেখা যায়। জামগাছ ইংরেজিতে  ভারতীয় ব্লাকবেরি নামে পরিচিত। চিকিৎসা  বিজ্ঞানের ভাষায় 'সিজিয়াম কিউমিনি' নামে পরিচিত।  আমাদের দেশে সাধারণত জুন-জুলাই মাসে পরিপক্ব জামফল পাওয়া যায়। মিষ্টি-টক ও কষায় স্বাদের এ ফলটি অনেক পু্ষ্টি ও হারবাল গুনে ভরপুর।  ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্র ও বিশেষজ্ঞদের মতে জামফলে শুধু নয় এর পাতা, ছাল-বাকল ও মুলেও রয়েছে অনেক ঔষধি গুনাগুন।  সহজ লভ্য এগাছের পাতায় রয়েছে,অ্যালার্জি ও ডায়াবেটিস সারানোর মত অকল্পনীয় সব উপাদান।  ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্র ও বিশেষজ্ঞদের মতে, জামপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও,অ্যান্টি-ভাইরাস, ব্যাথা ও প্রদাহ নাশক উপাদান। ইউএস ন্যাশনাল গবেষণা লাইব্রেরি অব মেডিসিন ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের গবেষণায় উঠে এসেছে জাম  ও জামপাতা রসে বিদ্যমান, 'বায়ো-অ্যাক্টিভ ফাইটোক্যামিকক্যাল' ক্যান্সার বিরোধী কোষ তৈরি করে ও লিভার সমস্যা থেকে বাচাতে খুবই কার্যকর।  অতিরিক্ত ওজন কমাতে ও মেদভুড়ি কমাতে জামপাতার রস এবং জাম খুবই কার্যকরী। এজন্য ১০-১২ ট

পাথরকুচি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।

Image
পাথরকুচি মুত্রথলির পাথর ভেঙে বের করে দেয় - অভিজ্ঞ ভেষজ চিকিৎসক দের মতে, যাদের নিয়মিত মুত্র নিরসনে বাধা প্রাপ্ত হয়,একনালের পেশাব একাধিক নালে বের হয়, এমন রুগি দুই চামুচ পাতার রস চিনির সহিত মিশিয়ে খেলে, পাথর বের হয়ে এ সমস্যার সমাধান হবে। উপকার না পর্যন্ত নিয়মিত খেতে হব। পাথরকুচি   অতি প্রাচীন কাল থেকে 'পাথরকুচি' ভেষজ ঔষধ হিসেবে ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে সদর্পে স্থান করে নিয়ছে। যার ফলশ্রুতিতে এশিয়া মহাদেশ সহ বিশ্বের সকল মহাদেশেই এটি মুল্যবান ভেষজ হিসেবে ব্যাবহার হয়ে আসছে। ভারত উপমহাদেশ সহ প্রায় সকল মহাদেশের 'মেটেরিয়া মেডিকা'য় পাথরকুচির নাম সন্নিবেশিত হয়েছে, উপকার বিশ্লেষণ ও গুনের কথা সবাই প্রায় একই রকম ভাবে লিপিবদ্ধ করে গেছেন ।   পাথরকুচির গাছ প্রায় দেড় থেকে দুই ফুট উচু হয়ে থাকে। ডিম্বাকৃতি পাতা গুলো মোটা, মচমচে ও মশৃন হয়ে থাকে। পাতার চারিদিকে ছোট ছোট গাড় নীল রঙের খাঁজ কাটা। প্রতিটি খাজে একটি করে মুক্তার মত পাথর বসানো থাকে। এই খাজে বসানো মুক্তা থেকেই নতুন চারা গজিয়ে থাকে। পাথর কুচির পাতা স্যাঁত স্যাঁতে জায়গায় রেখে দিলে সহজেই চারার জন্ম হয়। এটি একটি খরা সহিষ্ণু উদ্ভিদ।   ভারত