জামপাতা চিরতরে ডায়াবেটিস ও অ্যালার্জি দুর করে।
























 বাংলাদেশ তথা ভারত উপমহাদেশের আনাচে কানাচে বসতবাড়িতে ও পতিত জমিতে প্রচুর পরিমান নানান জাতের জামগাছ দেখা যায়। জামগাছ ইংরেজিতে  ভারতীয় ব্লাকবেরি নামে পরিচিত। চিকিৎসা  বিজ্ঞানের ভাষায় 'সিজিয়াম কিউমিনি' নামে পরিচিত।  আমাদের দেশে সাধারণত জুন-জুলাই মাসে পরিপক্ব জামফল পাওয়া যায়। মিষ্টি-টক ও কষায় স্বাদের এ ফলটি অনেক পু্ষ্টি ও হারবাল গুনে ভরপুর। 







ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্র ও বিশেষজ্ঞদের মতে জামফলে শুধু নয় এর পাতা, ছাল-বাকল ও মুলেও রয়েছে অনেক ঔষধি গুনাগুন। 

সহজ লভ্য এগাছের পাতায় রয়েছে,অ্যালার্জি ও ডায়াবেটিস সারানোর মত অকল্পনীয় সব উপাদান। 

ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্র ও বিশেষজ্ঞদের মতে, জামপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও,অ্যান্টি-ভাইরাস, ব্যাথা ও প্রদাহ নাশক উপাদান।

ইউএস ন্যাশনাল গবেষণা লাইব্রেরি অব মেডিসিন ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের গবেষণায় উঠে এসেছে জাম  ও জামপাতা রসে বিদ্যমান, 'বায়ো-অ্যাক্টিভ ফাইটোক্যামিকক্যাল' ক্যান্সার বিরোধী কোষ তৈরি করে ও লিভার সমস্যা থেকে বাচাতে খুবই কার্যকর। 







অতিরিক্ত ওজন কমাতে ও মেদভুড়ি কমাতে জামপাতার রস এবং জাম খুবই কার্যকরী। এজন্য ১০-১২ টি জামপাতা ১০-১৫ মিনিট সিদ্ধ করতে হবে। পানি হাল্কা সবুজ রং হ'য়ে গেলে নামিয়ে ১ কাপ পরিমাণ প্রতিদিন সকালে পান করতে হবে। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সমপরিমাণ জামপাতা ও নিমপাতা ্একই নিয়মে তৈরি করে প্রতিদিন সকালে একই পরিমাণ পান করিলে, অচিরেই রক্তের সুগারের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসিবে। 

 এই গাছের পাতার রস ডায়াবেটিস রোগিদের রক্তের শর্করা কমায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে ও অ্যালার্জি নির্মুল করার মত শক্তিশালী সব উপাদানের সমাহার। 








যাদের মাথার অতিরিক্ত চুল পড়ে, তারা সমপরিমাণ জামপাতা ও কারি পাতা একই নিয়মে সিদ্ধ করে প্রতিদিন সকালে এক কাপ পরিমাণ পান করিলে অচিরেই চুল পড়া বন্ধ হয়ে  যাবে। এ মিশ্রণটি মুখের ক্ষত ও দন্ত ক্ষয় (ডেন্টাল কেরিজ) ও স্কার্ভি রোগ সারাতে খুবই কার্যকরী। 

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও ভয়ংকর সমস্যা হলো অতিরিক্ত 'ওজন বৃদ্ধি' ও ডায়াবেটিস। এই সমস্যার সমাধানে সমপরিমাণ জামপাতা ও সজনে পাতা রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে প্রতিদিন সকাল-বিকাল নিয়মিত খেলে সুগার আধিক্য কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসবে। ওজন কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে আসবে।  







ভারত উপমহাদেশ ও বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের সকল মহাদেশে কমবেশি জাম গাছ দেখা যায়।অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলংকা, মালেশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রচুর পরিমানে জাম গাছ জন্মিতে দেখা যায়।  

ছবি ও লেখা, ডাঃ নজরুল ইসলাম।    

প্রাক্তন শিক্ষক, হোমিওপ্যাথি ও হারবাল চিকিৎসক এবং কলামিস্ট।       








Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

গাছ আলুর উপকারিতা

পঞ্চমুখী এর উপকারিতা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় চেতনা।

ইপিল ইপিল গাছের উপকারিতা ও সম্ভাবনা।