মাংশ ফ্রিজে রাখার পুর্বে কিছু ভাল মন্দ জেনে নিন।

     
                             



দৈনন্দিন খাবার উদ্দেশ্যে স্বল্প পরিসরে যোগাড় কৃত মাংস গুলোর সামান্য উদ্বৃত্ত কখনো কখনো ফ্রিজে কিংবা স্থানীয় পদ্ধতিতে সহজে রাঁধুনি পর্যায়ে সংরক্ষণ করা হয়। এর জন্য অতিরিক্ত কোন যত্ন আত্তির প্রয়োজন পড়ে না। কারন এগুলো সপ্তাহ খানেকের  মধ্যেই আবার খাইয়া শেষ করা হয়।
হ্যালো আমার প্রিয় পাঠক ও ব্লগার বন্ধুগন

আশাকরি সুস্থ শরীরে নিয়ে সুন্দর মেজাজে সময়  অতিবাহিত করিতেছেন । আমিও আপনাদের মত থাকতে পারলে কিছুটা হলেও ভাল লাগত। আশীর্বাদ করবেন আমাকেও। ব্লগ পাঠক বন্ধুগনের কি চাওয়া পাওয়া ? তাহা এখনো আমার এই ক্ষুদ্র হৃদয়ে ধারণ করতে পারলাম না।শুধু বোকার মত যা-তা লেখার চেস্টা করে শুধুমাত্র অনর্থক ব্লগের আড়ম্বর বৃদ্ধি করিতেছি। আজও এমনি এক ধরনের লেখার অবতারণা করব বলে মনে মনে ভাবছি। শিরোনাম দেওয়ার চেস্টা করেও আপাতত বন্ধ রাখিলাম।

ভাবতেছি মাংসতো সবাই খায়,এ বিষয়ে লিখতে কেমন হয় একটু চেষ্টা করে দেখিনা কেন? যেই ভাবা সেই কাজ। 

  মাংস খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে অতি নগন্য। প্রানী থেকে প্রাপ্ত প্রোটিনের চাহিদা , প্রান রক্ষায় অতি ব্যাপক। যাহা আদিকাল থেকে মানুষ তাঁর স্বাস্থ্য রক্ষার কাজে ব্যাবহার করে আসছে। যাহার স্থান প্রোটিন সারির প্রথমে।

 জাতিধর্ম নির্বিশেষে মানুষ নানান জাতের পশু-পাখির মাংস খেয়ে থাকে। পশু-পাখিও আবার নানান ধরনের প্রানী খেয়ে তাদের প্রোটিনের চাহিদা মেটায়।     

তাই এবার ভেবেচিন্তে স্থির করিলাম, মাংস ফ্রীজে রাখার পুর্বে করনীয় সম্পর্কে লিখব।
হ্যা বন্ধুগন যেমন ভাবা তেমনি লেখা শুরু করছি।

কিভাবে মাংস ফ্রীজে যায়

দৈনন্দিন খাবার উদ্দেশ্যে স্বল্প পরিসরে যোগাড় কৃত মাংসগুলোর সামান্য উদ্বৃত্ত কখনো কখনো ফ্রিজে কিংবা স্থানীয় পদ্ধতিতে সহজে রাঁধুনি পর্যায়ে সংরক্ষণ করা হয়। এর জন্য অতিরিক্ত কোন যত্ন আত্তির প্রয়োজন পড়ে না। কারন এগুলো সপ্তাহ খানেকের  মধ্যেই আবার খাইয়া শেষ করা হয়।

 প্রিয় "মাংসভোজি" ব্লগার ও পাঠক বন্ধু গন-
এতক্ষণে বিষয় ঠিক করেছি । আজকের   লেখার বিষয় দিলাম ,"ফ্রিজে  সঠিক নিয়মে মাংস সংরক্ষণ পদ্ধতি"  সম্পর্কিত। মানব জীবন ধর্মীয় আচার ও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অতিবাহিত হতে থাকে। ভিন্ন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান পালন করতে দেখা যায়। কিন্তু সকল অনুষ্ঠানে

একটি অনু সঙ কখনো বদল হতে দেখা যায়না। যাহা ভুঁড়িভোজ বা ব্যাপকহারে খাবারের ব্যাবস্থা।   
  প্রায় সকল আচার- অনুষ্ঠানের মুল আয়োজনে থাকে "ভোগবিলাস" । অন্যান্য খাবারের সাথে বেশি পরিমাণ মাংসের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।এমন কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠান আসে , সেখানে মাংস ছাড়া অন্য কিছুই কল্পনা করা হয়না ।

বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের পালনীয় "ঈদুলআজহা", এমনি এক বড় ধর্মীয়  অনুষ্ঠান।

যে অনুষ্ঠান আয়োজনে মাংস ছাড়া অন্য কিছু কল্পনায় স্থান পায়না । "ঈদুল আজহা"র  এদিনটি যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদাপূর্ণ ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করা হয় । ধর্মীয় নির্দেশ অনুযায়ী, " হালাল পশু" "নিয়ম মাফিক কোরবানী করা হয়।উদরপূর্তির জন্য সাথে পাখির মাংসও যোগ করা হয়। যেসব পরিবার পশু কোরবানি দিতে অক্ষম তাঁরাও পাড়া-প্রতিবেশির নিকট থেকে কিছু মাংস পেয়ে থাকেন এবং নিজেরাও পাখির মাংস সহ অন্য উপায়ে পশুর মাংসেরও ব্যবস্থা করে থাকেন।


ঘরে ঘরে চলে  ঈদুল আজ্বহার আমেজ, হরেক রকম মাংসের ছড়াছড়ি, বাড়ির মাংস, আত্মিয়স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশি থেকে পাওয়া মাংস ,শুধু মাংস আর মাংস।

♥ কি করবেন এতো মাংস
 
বন্ধু গন
 এত্ত মাংস কি একদিনে খাওয়া সম্ভব? না সম্ভব না। তাই সংরক্ষনের জন্য প্রয়োজন হবে ডিপ ফ্রিজের।
আজকে আপনাদের সামনে বেশি "মাংস ফ্রিিজে সঠিক ভাাবে সংরক্ষণের " বিষয় নিয়ে আলোচনা করব....

♥বেশি মাাংস ফ্রিজে কিভাবে রাখবেন :-
প্রথমে মাংস, হাড়, হাড্ডি খাওয়ার উপযোগি করে, টুকরা টুকরা করে কেটে নিন । আপনার পছন্দ, রুচি,  প্রয়োজন ও মাপ মত আলাদা আলাদা ভাবে ভাগ করে নিন ।
মনে রাখবেন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সংরক্ষনের  জন্য মাংস ধোয়ার কোনো প্রয়োজন নাই। অতি প্রয়োজনে ধৌতকরণ মাংস ভাল ভাবে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।

♥ প্যাকেট করুন-

এবার ভাগ কৃত মাংস গুলো নতুন পলিথিন প্যকেটে ভরিয়ে নিন । প্যাকেট বায়ু শুন্য করে , ভালভাবে মুখ আটকে দিন।

পুরাতন ও ব্যাবহারি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার  না করাই উত্তম। তাতে ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়া বাসা বাধতে পারে। প্রয়োজনে পুরাতন পলিথিন   হালকা গরম পানি দিয়া পরিস্কার করে, শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।

♥ ফ্রিজ পরিষ্কার করুন আগে :-

আপনার ফ্রিজটি নতুন হলে পরিস্কার করার দরকার হবেনা। তবে মাংস ফ্রিজে রাখার অন্ততঃ ২৪ ঘন্টা পূর্বে চালু করে রাখতে হবে ।
ব্যাবহারি ফ্রিজও অন্তত ২৪ ঘন্টা পর্বে পরিস্কার করে নিতে হবে ।

প্রথমে পুর্বের খাদ্য দ্রব্য ফ্রিজ থেকে বের করে নিন। হালকা গরম পানির সহিত লেবুর রস মিশাইয়া,  নরম পরিস্কার কাপড় দিয়া ভালোভাবে  পরিস্কার করুন । ১৫ -২০ মিনিট পরে শুকনো নরম কাপড় বা টিস্যুপেপার দিয়া মুছে নিন। ভাল ভাবে শুকাইলে ,পুর্বের খাদ্যদ্রব্য রেখে দিন। মনে রাখবেন, ব্যবহারকৃত ফ্রিজে কয়েকটি লেবুর টুকরো রেখে দিলে ,অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্গন্ধের ঝামেলা এড়াতে পারবেন ।

কিভাবে ফ্রিজে রাখবেন-

এবার ডিপ ফ্রিজে রাখার পালা, মাংসের প্যাকেট সুন্দর করে বিছাইয়া সাজান, যাতে এক সঙ্গে চাপা না লাগে প্রতি স্তরে স্তরে পরিস্কার কাগজ বিছিয়ে দিন,এতে করে প্রতি পোটলা আলাদা থাকবে ও সহজে একটি পোটলা বের করা যাবে। 

মাংস ফ্রিজ থেকে বের করে পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে সহজে খুলে যায়। জরুরি প্রয়োজনে হালকা গরম পানিতে ভিজাইলে ২০ মিনিটেই খুলে যাবে।পোস্ট টি আপনাদের সামান্য  উপকারে আসলে আমার লেখাটি সার্থকতা পাবে। ভাল মন্দ কমেন্ট করলে আনন্দিত হবো।

সাথেই থাকুন

আর্টিকেল, ডাঃ নজরুল ইসলাম  

 প্রাক্তন শিক্ষক, অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক কলামিস্ট


Comments

Popular posts from this blog

গাছ আলুর উপকারিতা

পঞ্চমুখী এর উপকারিতা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় চেতনা।

ইপিল ইপিল গাছের উপকারিতা ও সম্ভাবনা।