করলা খাওয়া মাত্রই টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনে।





বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, করলায় রয়েছে, অ্যাডেনোসিন মনোফসফেট অ্যাক্টিভেটেড প্রোটিন কিনেস" নামের দুস্পাপ্য একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।  এই শক্তিশালি উপাদানটি, এনজাইমের সঠিক ডোজ বজায় রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী। এটি অপ্রত্যাশিত ভাবে মানব দেহের রক্তে নিহিত অতিরিক্ত সুগারের মাত্রা তাৎক্ষণিক ভাবে কমিয়ে আনতে খুবই কার্যকরী ভুমিকা পালন করতে পারে। এতে "অগ্ন্যাশয়" শক্তিশালী হয়ে কোষগুলির বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি করে এবং রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য বজায় রাখে


করলা/উচ্ছে

করলা বাংলাদেশ সহ ভারত উপমহাদেশের সবার পরিচিত সবজি জাতীয় এক ধরনের লতানো গাছের ফল। ফলটি তিক্ত স্বাদের হলেও সবজি হিসেবে এর গুনের কোন শেষ নাই। ইংরেজ বাবুরা করলাকে Bitter Mellon নামে ডাকলেও ভারত উপমহাদেশের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে একে অনেক নামে ডাকতে শুনা যায়। সাধারণত গ্রীষ্মকালে পাওয়া বড় ও লম্বাটিকে করলা, করল্লা, কল্লে ও শীত কালের ছোট ছোট গুলিকে উচ্ছে, ইচ্ছে, উস্তে ইত্যাদি ইত্যাদি নামে ডেকে থাকে। রঙ সাধারণত সবুজ ও গা অমশৃন হয়ে থাকে। ফল পেকে গেলে লাল ও বাদামি রং ধারন করে এবং আরও বেশি পেকে গেলে "বাঙ্গি" ও "ডালিমের মত এমনিতেই ফেটে যায়। এসময় ভিতরে বিচির রং লাল দেখা যায় এবং শুকনো অবস্থায় বিচির চক্কর বক্কর বাদামী রঙের হয়ে থাকে।

যতদুর জানা যায় সবজি ও ফলের জগতে, তিতা সবজি হিসেবে করলাই প্রথম করলাই শেষ আবিষ্কার।         
 করলা নামের এ সবজিটি তিঁতা, তেতো, তিক্ত যে স্বাদের নামেই উপস্থাপন করা হোক আসলে এর ভাজিতে থাকে রাঁধুনির নিজের হাতের ছোয়ায় তিঁতা বিলুপ্ত হয়ে এর মধ্যে পাওয়া যায় রুচিকর মিষ্টি স্বাদ।










 করলা রুচি অনুযায়ী তরকারি, ভাজি,সালাদ, জুস, পাউডার, আঁচার, চা, স্যুপ, ফ্লোরি সহ মাছ, মাংস, ডিম ও অন্যান্য সকল সবজির সহিত মিশিয়ে রান্না করেও খাওয়া হয়ে থাকে।

  করলা শুধু সবজি হিসেবে ব্যবহার করা হয়না এটি ঔষধি ও ভেষজ গুনেও ভরপুর। বর্তমান বিশ্বের সকল ঔষধ কোম্পানিগুলো করলা থেকে নানান ধরনের ঔষধ তৈরিরেে এ নিয়ে প্রতি যোগিতায় নেমেছে। পেটের পীড়া, যৌন দুর্বলতা এবং আধুনিক  ডায়াবেটিস চিকিৎসার ঔষধ তৈরিতেও ওর প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে।

খাদ্য ও পুষ্টিবিদদের দেওয়া তথ্য অনুসারে জানা যায় যায়, করলায় রয়েছে, ভিটামিন, মিনারেল, সামান্য আমিষ ও সর্করা, এন্টিবায়োটিক, এন্টিহিস্টামিন, এন্টি এলার্জিক, এন্টি সুগার, এন্টিঅক্সিডেন্ট ও মানবদেহের চাহিদা পুরনের মোটামুটি সব উপাদান।   









 
                                           
প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য করলায় রয়েছে ২২ থেকে ৩০ কিলক্যালরি খাদ্যশক্তি।  যাহ খাদ্য ও পুষ্টি মানে নিম্নরুপ-       
 * প্রোটিন ------------------------------------ ১.১ গ্রাম

 * কার্বোহাইড্রেট --------------------------- ১.৬ গ্রাম

 * খাদ্য আঁশ-----------------------------------২৩ গ্রাম

 * ফ্যাট --------------------------------------- ১.৭ গ্রাম

 * নায়াসিন --------------------------------- ১.৬ মিগ্রা

 * পেন্টোথেনিক অ্যাসিড -------------১.২৮ মিগ্রা

 * ভিটামিন-এ ------------------------ ৪৭০ আইইউ

 * ভিটামিন-সি ---------------------------- ৩.১ মিগ্রা

 * ক্যালসিয়াম ---------------------------২০.২ মিগ্রা

 * পটাসিয়াম -----------------------------২০.৫ মিগ্রা

 * সোডিয়াম ------------------------------- ১.২ মিগ্রা

 * আয়রন -------------------------------- ১.৩৫ মিগ্রা

 * তামা -------------------------------------- ১.৮ মিগ্রা

 * দস্তা --------------------------------------- ১.২ মিগ্রা

 * ম্যাঙ্গানিজ --------------------------------১.৬ মিগ্রা

 * ম্যাগনেসিয়াম --------------------------- ১.২ মিগ্রা

 * জল ---------------------------------------------৮৫%


করলার উপকারিতা


 * ডায়াবেটিসে সমস্যায় করলা-

স্বাস্থ্য, খাদ্য ও পুষ্টিবিদদের মতে করলা প্রাকৃতিক ইনসুলিন উদ্ভিদ বা ইনসুলিন প্লান্ট। এর আঁগা, ডগা, পাতা, শিকড়, কান্ড ও বীজ সবই  ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ঔষধ হিসেবে এবং অন্যান্য সমস্যায় ওষুধ ও ভেষজ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। করলা ও পাতা থেকে সরাসরি ইনসুলিন পাওয়ার একমাত্র উপায়। অন্য যে কোন প্লান্ট তিতে বা তিক্ত হলেও তা থেকে ইনসুলিন পাওয়া যায় না। করলার রস পানে তাৎক্ষনিক ভাবে টাইপ-২ ডায়াবেটিস সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন উপায়ে সপ্তাহে তিন থেকে পাঁচদিন করলা খাওয়া হলে ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার লেবেল সহনীয় পর্যায়ে স্থায়ী ভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, করলায় রয়েছে,   অ্যাডেনোসিন মনোফসফেট অ্যাক্টিভেটেড প্রোটিন কিনেস" নামের দুস্পাপ্য একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।  এই শক্তিশালি উপাদানটি, এনজাইমের সঠিক ডোজ বজায় রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী। এটি অপ্রত্যাশিত ভাবে মানব দেহের রক্তে নিহিত অতিরিক্ত সুগারের মাত্রা তাৎক্ষণিক ভাবে কমিয়ে আনতে খুবই কার্যকরী ভুমিকা পালন করতে পারে। এতে "অগ্ন্যাশয়" শক্তিশালী হয়ে কোষগুলির বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি করে এবং রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য বজায় রাখে।











আরও পড়ুন-- পঞ্চমুখির উপকারিতা

 * উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে:

 করলায় বিদ্যমান প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং হার্টের ধমনী শক্তিশালী করার মত দুস্পাপ্য কিছু   উপাদান। এসব সক্রিয় ও শক্তিশালি উপাদানগুলি ধমনী এবং রক্তনালী গুলিকে সহজেই পরিষ্কার করে, রক্ত চলাচলের বাঁধা সমুহ দুর করে থাকে।        ফলস্বরূপ, মানব দেহের হৃদপিণ্ডে রক্ত ​​প্রবাহে আর কোন বাধা থাকেনা। এটি হৃৎপিণ্ডে রক্তনালীগুলির প্রবাহ এবং সরবরাহকে স্বাভাবিক করে এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাটিকে দুর করে ফেলে।





 * ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ধ্বংস করতে -

 করলা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, ভিটামিন-সি, খনিজ লবন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং কোলেস্টেরল ঝরানো উপাদানগুলি রক্তনালীতে উপকারী  কোলেস্টেরল (এইচডিএল) এর সাধারণ সরবরাহ বাড়ায় এবং ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল (এলডিএল এবং টিজি) রক্তনালি থেকে সরিয়ে দেয়। 

বিশেষজ্ঞদের মতে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল মানব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। হৃদপিণ্ডে রক্তের প্রবাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনতে অবশ্যই রক্তনালি পরিস্কার রাখতে হবে।     কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা রোধেও করলার সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে।

 * কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটের পীড়ায়-

পুরাতন কোষ্ঠকাঠিন্যে নিয়মিত করোলার পাতার রস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং অর্শ্বরোগ থেকে মুক্তি  পাওয়া যায়।
 করলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ, ভিটামিন-সি ও মিনারেল। খাদ্য ও ভেষজবিদরা বলেন যে, সপ্তাহে ৩-৪ দিন করলার সালাদ, তরকারি, রস বা যেকোনো ভাবে খাবার হিসেবে রাখা হলে  নতুন এবং পুরানো কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের যেকোনো সমস্যা   থেকে সহজেই  মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

 * রক্তের ঘাটতি পুরনে -

 করলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, খনিজ, ভিটামিন সি, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হিমোগ্লোবিন উৎপন্নকারি সক্রিয় উপাদান।  যা লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে খুব কার্যকরী ভুমিকা পালন করতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা থেকে পুনরুদ্ধার হওয়ার পরে দুর্বলতা থেকে পুনরুদ্ধার করার জন্য নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে পথ্য হিসেবে করলা খাওয়া হলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে রক্ত শুন্যতা দুর কর এবং    প্রসবোত্তর আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে করলার জুড়ি নাই।

 * ক্যান্সার প্রতিরোধ করলা-

 করলার শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যার নাম লুটিন এবং লাইকোপেন।  এসব উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে টিউমার নামে অযাচিত কোষকলা সৃষ্টি হতে বাধা প্রাপ্ত হয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।



       
 * সোরিয়াসিস এবং অ্যালার্জি সারাতে:-
করলার এন্টি হিস্টামিন, এন্টি এলার্জিক এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট সোরায়সিস ও অ্যালার্জি সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে খুবই কার্যকর।      
   
 প্রতিদিন দুই টেবিল চামচ সমান পরিমাণে করলার রসে, এক চা চামুচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে সোরায়সিস এবং অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। 

 * শ্বাসযন্ত্রের রোগ:-

 ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে, অ্যাজমা এবং ব্রঙ্কাইটিসে করলার রস আদিকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
 ১ চা চামচ পরিমাণ করোল্লা পাতার পেস্ট, সমপরিমাণ তুলসী পাতার রস এবং মধু মিশিয়ে খেলে পুরাতন হাঁপানি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।         কমপক্ষে এক থেকে দুই মাস খেলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব।  কাশি এবং শ্বাস প্রশ্বাসের রোগের ক্ষেত্রে, করলার জুড়ি মেলা ভার।












 * পাতলা পায়খানায় পাতার রস-

পাতলা পায়খানা বা কলেরাতে, মাঝারি একটি পাতার রস ২ চামুচ পরিমানে দিনে ৩ বার খেলে উপকা পাওয়া যায়।
বিষয়টি কতদূর কার্যকরী কিংবা আদৌও খাওয়া যাবে কি যাবেনা তা সঠিক ভাবে বা এর বেশি কিছু জানা যায় না।     

 * বাতের ব্যথা এবং হাঁড় ও দাঁত ক্ষয় রোধে-
 ভারতীয় ভেষজবিদ ও অভিজ্ঞ কবিরাজদের মতে, করলাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে।  বাত, বাত, শরীরের ব্যথা, কামড়ানো, কামড় কাটা, থেঁতলানো ব্যাথা এবং চিবানো ব্যাথা নিরাময়ে এটির যাদুকর ভূমিকা রয়েছে।
 এ সমস্যার  সুফল পেতে হলে,  করলে বা পাতা ঘি দিয়ে রান্না করে এবং ভাতের সাথে খেতে হবে। সপ্তাহে কমপক্ষে তিন থেকে চার দিন এভাবে খাওয়া যেতে পারে। 

 * ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য জ্বরে:-

 ২-৩ টি করলা পাতার রস, ২-৩ গ্রাম ধনিয়া পাতার সাথে মিশিয়ে দিনে ৩-৪বার খেলে যে কোন জ্বরে উপকার পাওয়া যেতে পারে। মুখের স্বাদ ও স্বাদ মেটাতে করলা ভাজা ও তরকারি ডায়েট হিসাবে পরিবেশন করা যেতে পারে।

 * করলা শরীরে বিষ প্রকাশ করে:-

 করলা হ'ল এক ধরণের জরুরী "অ্যান্টি-টক্সিন" এজেন্ট যা শরীরের দূষন পদার্থ দ্রুত নির্গমন করতে খুবই সহায়ক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সপ্তাহে ২-৩ দিন ভাত দিয়ে করলা তরকারি খেয়ে শরীর বিষাক্ত টক্সিন বের করে দেওয়া সহজ হতে পারে

 * গুড়া ক্রিমির উপদ্রব কমাতে -

  সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন করলা বা পাতা যেকোনো ভাবে খাওয়া হলে তা গুড়া ক্রিমির উপদ্রব হ্রাস পায়  এবং পিত্তথলির সুরক্ষা প্রদান করে।

 * জন্ডিস ও লিভার সমস্যায়-

 করলার বিরল ভিটামিন সি, ক্যারোটিনয়েড, আঁশ, ফসফরাস, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এন্টি টক্সিনএবং খনিজ লবন সমুহ, মানব দেহের বিষ ও অতিরিক্ত অক্সাইড সমুহ সরিয়ে দিয়ে, জন্ডিসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং লিভারের সুরক্ষা দিয়ে থাকে।

 * যৌবনে রাখে-

 করলায় ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-বি১২,     অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিএজিং উপাদান রয়েছে।  যা আপনার স্নায়ুবিক দুর্বলতা দুর করে এবং দ্রুততম সময়ে মনে আনন্দ এনে দিতে সহায়তা করে থাকে।

 * ভাল চোখ রাখতে করলা-

 করলায় উপস্থিত ভিটামিন ডি ভিটামিন-এ, বেটা-ক্যারোটিন, অক্সাইড মুক্ত কারী উপাদান এবং খনিজ লবনগুলি চোখকে সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। এটি রাতকানা রোগেও উপকারী।




 ** ক্ষতিকর দিক-

 প্রায় সব উপকারী এবং অপকারী দিক রয়েছে। আমরা এতক্ষণ করলার উপকারী ও ভেষজ গুন সম্পর্কে জানলাম। আসুন এখন জেনে নেই করলার অপকারিতা সম্পর্কে - 
করোলায়  রয়েছে খুব বেশি রক্ত ​​প্রবাহ গুন।  তাই গর্ভাবতি মায়েদের অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া অনুচিত। তাতে গর্ভপাতের ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যেতে পারে।   
ডায়াবেটিসে অন্যান্য ওষুধ ও ব্যবস্থার  সাথে খেতে হল সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। তানাহলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া (হাইপো) হয়ে কোমায় যাওয়ার ভয় বেড়ে যেতে পারে  ।

দুই বছরের কম বয়সীদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রস খাওয়ার দরকার নেই।  তবে তরকারি খেতে কোনও বাধা নেই।  সৌদি স্বাস্থ্য জার্নালে, অ্যানালস অফ সৌদি মেডিসিনে একটি গবেষণায় প্রকাশিত সংবাদে এমনই তথ্য জানা যায়।বেশি পরিমাণে রস পান করলে  অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন ও লিভারের প্রদাহ হতে পারে এবং পেট ব্যথা ও বমিভাব হতে পারে। কৃমি দমনে ফলের বা পাতার রস খাওয়া উচিত নয়।এতে কীটগুলি সরানোর মাধ্যমে ক্রিমি বিকার হতে পারে।

ছবি ও লেখা, ডাঃ নজরুল ইসলাম।    

প্রাক্তন শিক্ষক, হোমিওপ্যাথি ও হারবাল চিকিৎসক এবং কলামিস্ট।       

,

Comments

Popular posts from this blog

গাছ আলুর উপকারিতা

পঞ্চমুখী এর উপকারিতা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় চেতনা।

ইপিল ইপিল গাছের উপকারিতা ও সম্ভাবনা।